গবেষণা: টেকসই উন্নয়নের মূল হাতিয়ার
গবেষণা: টেকসই উন্নয়নের মূল হাতিয়ার
বিজন কুমার
Photo: Grammarly and Internet
গবেষণা ছাড়া উদ্ভাবন সম্ভব নয়। আর উদ্ভাবন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। তাই আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গবেষণার কোনই বিকল্প নাই। তবে সেই গবেষণা অবশ্যই মৌলিক ও উদ্ভাবনীমূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। আমাদের চারপাশে এমন উদ্ভাবনীমূলক গবেষণার সংখ্যা খুব একটা চোখে পড়ে না বললেই চলে।
আজকাল কাউকে কাউকে এটাও বলতে শুনি যে, গবেষণা করে কী লাভ! পদোন্নতির জন্য দুটি-তিনটি করলেই তো হলো! বেশি গবেষণা করে অযথা সময় নষ্ট করে কী হবে, এর থেকে তো কোন লাভ আসে না! উল্টো নিজের পকেটের টাকা খরচ হয়ে যায়। কথাটি একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। আমাদের দেশে গবেষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করার ও তাঁদের গবেষণালব্ধ পরামর্শকে প্রাধান্য দেয়ার সংস্কৃতি খুব একটা নেই। সেইসাথে নেই সর্বস্তরে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ। তাই একদিকে যেমন গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে, অন্যদিকে প্রকাশনার সংখ্যা বৃদ্ধি ও পদোন্নতির জন্য গবেষণা এমন ধারণা থেকে দ্রুত বেড়িয়ে এসে উদ্ভাবনীমূলক ও সমাজসংস্কারমূলক গবেষণা করা আশু প্রয়োজন।
এ জন্য শুধু সরকার একা নয়, সরকারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তি পর্যায় থেকেও উদ্যোগ গ্রহণ করে এগিয়ে আসতে হবে এবং তা এখনই। শুয়ে-বসে কাটানোর সময় আর নেই। সামনে বছর আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। এই সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে দুই-একটি ব্যতীত কৃষি, শিল্প, অর্থ-বাণিজ্য, চিকিৎসা, প্রকৌশল, প্রযুক্তি কোন ক্ষেত্রেই চোখে পড়ার মতো গবেষণা নেই বললেই চলে। গবেষণা নামক মঙ্গলযাত্রায় তরুণ গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে সর্বপ্রথম। তাহলেই আমাদের মাঝে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে উঠবে ও দেশ এগিয়ে যাবে।
জয় হোক গবেষণার, জয় হোক সোনার বাংলার।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক, অর্থনীতি বিভাগ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
ইমেইল: bezon.kumar3@gmail.com
Anyone can drop comments on this post.
ReplyDelete